এসকে সিনহা এবার কানাডায় আশ্রয়প্রার্থী

বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) ও তার স্ত্রী ৪ জুলাই কানাডায় প্রবেশ করেছেন। সেখানে তারা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।

কানাডার টরেন্টো থেকে প্রকাশিত ইতালিয়ান ভাষার পত্রিকা কোরিয়েরে কানাডিজ এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। এর আগে এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

কোরিয়েরে কানাডিজ পত্রিকার প্রতিবেদক জো ভোলপে লিখেছেন, ‍“আপনারাও নিশ্চয়ই আমার মতো এই সংবাদ শুনে মেঝে থেকে লাফ দিয়ে উঠছেন! কেননা, তিনি কোনো সাধারণ নাগরিক নন। তিনি একটি দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতি ছিলেন।”

২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি এসকে সিনহা প্রথম হিন্দু হিসেবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আপিল বিভাগে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই সিনহা সরকারের বিভিন্ন শাখার পূর্ণাঙ্গ পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রয়োগ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। এরপর থেকেই তিনি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠেন।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধান বিচারপতি ও শাসক দলের বিভেদ প্রকাশ্যে চলে আসে; যখন সিনহা ৭৯৯ পৃষ্ঠার একটি বিচারিক মতামত প্রকাশ করেন, যার মাধ্যমে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়।

এতে করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বাতিল হয়। এরপর সরকার থেকে সিনহার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু হয়। তার পরিবার ও বন্ধুরাও চাপে পড়ে যান।

এরপর ২ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সম্মান ও শান্তির কথা চিন্তা করে সিনহা সাময়িক ছুটিতে যান। কিন্তু তারপরেও অশান্তি তার পিছু ছাড়েনি। ২০১৭ সালের ১৭ই নভেম্বর তিনি বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। পরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে যান। ফেব্রুয়ারিতে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তবে তার স্ত্রী করেননি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: