আদিবাসী মেয়ের সাথে প্রেম করায় মুসলিম কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা

আদিবাসী মেয়ের সাথে প্রেম করায় এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার ভারতের গুজরাটে আঙ্কলেশ্বরের ঝাগারিয়ার তেহশিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ফৈয়াজ (১৭)। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জানে না নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, বুধবার পাঁচ বন্ধুর সাথে আঙ্কলেশ্বর বেড়াতে গিয়েছিল ফৈয়াজ। দীর্ঘসময় ধরে বাড়ি না ফেরায় তাকে ফোন করেন মা। ফৈয়াজ জানায় সে বোরিদ্রাতে অবস্থান করছে। সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতেও বলে মাকে।

ফৈয়াজের মা বিষয়টি তার বাবাকে জানান। পরে তিনি বোরিদ্রাতে গিয়ে দেখেন ছেলে রাস্তায় পড়ে আছে। সারা শরীর রক্তাক্ত। সেখান থেকেই সুরাটের একটি হাসপাতালে ফৈয়াজকে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

সুরাট হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য, বেধড়ক পিটুনির কারণে ফৈয়াজের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার হাত-পাও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।

কেন ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো; তা জানে না ফৈয়াজের বাবা-মা। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আদিবাসী এক কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু ধর্মের বেড়াজাল না মেনে প্রেমের সম্পর্ক করায় তাকে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।

ফৈয়াজের বাবা-মা ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আঙ্কলেশ্বর থানায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্দে মামরা দায়ের করেছেন। খুনিদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

আঙ্কলেশ্বরের পুলিশ কর্মকর্তা এল এ ঝালা জানিয়েছে, ওই আদিবাসী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার কারণেই ফৈয়াজকে হত্যকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মমলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: