বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তহবিলে গত এক বছরে ৬ কোটি টাকার বেশি উদ্বৃত্ত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ২০১৮ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিল।
তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ২০১৮ সালে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের যে বিবরণী জমা দিয়েছে বিএনপি। তাতে গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের পর গত বছর বিএনপির সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছিল দলটির। পরে টানা তিন বছর আয় বেশি হয়েছে দলটির।
বুধবার বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির পক্ষ থেকে আয় ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেন।
হিসাব জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবার দলের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এখন পর্যন্ত দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে। এর বাইরে দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও এককালীন অনুদান থেকেও আয় হয়েছে। ব্যয়ের খাতের মধ্যে আছে অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার পার্টি, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচন, নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা ও বন্যার্তদের জন্য।’
২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় ছিল ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা; মোট ব্যয় হয় ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে ছিল।
তার আগের বছর দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। এর আগে তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের থেকে ব্যয় বেশি ছিল।
২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। ২০১৪ সালে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।
দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে বছরে ২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। সে সময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
টাইমস/এসআই