হঠাৎ করে বয়স্কদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে কেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু বৃদ্ধ দম্পতি খুন হয়েছে। আর খুন হওয়া বেশির ভাগ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নিঃসঙ্গ অবস্থায় ছিলেন। নিঃসঙ্গ থাকার সুযোগ কাছে লাগিয়ে খুব সহজেই এসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খুন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

আর এই বিষয়টি চোখে পড়ে পুলিশ কমিশনার (সিপি) অনুজ শর্মার। আর তাই বুধবার লালবাজারে এক বৈঠক করে সব থানাকে নির্দেশ দেন, এলাকায় প্রবীণেরা কেমন আছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হবে কর্মকর্তাদের। কীভাবে তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া যায়, ভাবতে হবে তাও। প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে বসাতে হবে সিসি ক্যামেরা।

সিপির নির্দেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিটি এলাকার নিঃসঙ্গ প্রবীণরা যে সব বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকেন, সেই বাড়ির পরিচারিকা, পত্রিকা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সেখানে যাতায়াত করা মিস্ত্রি এবং ওই নাগরিকদের সাহায্যকারী রিকশাওয়ালাদের নাম-ফোন নম্বর দিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ শুরু করে প্রতিটি থানা।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাব দেন, ‘এক-একটি ক্লাব ও পূজা কমিটি শহরের এক-একটি রাস্তার দায়িত্ব নিক। যে প্রবীণ দম্পতিরা একা থাকেন, ছেলেমেয়েরা থাকেন বাইরে, তাদের দেখভাল করুক তারা। কারণ পূজা কমিটিতে সব বয়সের মানুষ থাকেন। প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজখবর করার দায়িত্ব যাতে তারা নেন, আমি সেই অনুরোধ করছি।’

জানা যায়, শহরে প্রবীণদের খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব এত দিন ছিল প্রতি থানার একজন কনস্টেবলের উপরে। এখন থেকে প্রবীণদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে তাদের দেখভাল করা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখবেন প্রতিটি ডিভিশনের অধীনে থাকা ৪-৫ জন সহকারী কমিশনার।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি থানাকে বলা হয়েছে, এলাকায় কোন প্রবীণ নাগরিকের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা নেই সেই তালিকা তৈরি করতে। সেখানে রাস্তায় থাকা ক্যামেরা দিয়ে যদি পুরো বাড়িতে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা হলে নতুন ক্যামেরা বসানো হবে না। যদি প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে পুলিশ ক্যামেরা বসিয়ে তার দেখভালের ব্যবস্থাও করবে।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: