ইরানে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এ সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের শীর্ষ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডেভিড বার্নিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, “অপারেশন রাইজিং লায়ন-ভূমিকা পালনের জন্য আমি আমাদের প্রধান অংশীদার সিআইএকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই অভিযানের পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই সিআইএ আমাদের সহযোগিতা করেছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল— ইরান যে মাত্রার বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করেছে, তা দিয়ে অনায়াসেই পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব। আইএইএ এই বিবৃতি দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ১৩ জুন দিবাগত রাতে ইরানে বিমান অভিযান ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ শুরু করে ইসরায়েল। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেছিলেন, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার বিবৃতিতে আমলে নিয়ে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
ইসরায়েল এ অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ শুরু করে ইরান। উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি অভিযানে ইরানে গত ১২ দিনে নিহত হয়েছেন ৬ শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ইরানের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ১০ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণুবিজ্ঞানী আছেন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলেও হতাহত হয়েছেন অনেকে, তবে ইসরায়েলের সরকার এখনও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
২৩ জুন মধ্যরাতে ইরানের তিন পরমাণু স্থাপনায় হামলার মধ্যে দিয়ে সংঘাতে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরের দিন ২৪ জুন কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। ইরানের সেই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে মোসাদপ্রধান বলেন, “ইরানের যে হুমকি গত কয়েক দশক ধরে আমাদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে রেখেছিল, সিআইএ-এর সহায়তায় তা অনেকাংশে কাটানো সম্ভব হয়েছে। ইরানের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের নজরদারি অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে যদি কখনও ফের হুমকি পরিস্থিতি তৈরি হয়— তাহলে এবারের মতোই ফের তৎপর হবো আমরা।”
এফপি/ টিকে