‘মিন্নির হাঁটুতে পিটিয়েছে পুলিশ’

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মেয়ের ওপর পুলিশের অত্যাচারের বর্ণনা গণমাধ্যমের কাছে একে একে প্রকাশ করছেন বরগুনার আলোচিত রিফতা শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামিতে পরিণত হওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক।

মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন ‘হেফাজতে নেয়ার পর থেকেই তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার হাঁটুতে আঘাত করা হয়েছে। সে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ। তাই তাকে কারগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বরগুনার বাসায় নেয়া হয়’।

মোজাম্মেল হক বলেন, 'রিফাতের হত্যাকাণ্ডের পর মিন্নিকে বাসা থেকে সাক্ষী হিসেবে প্রথমে পুলিশ লাইনে আসামি শনাক্তকরণের কথা বলে নেয়া হয়। সেদিন থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। তার হাঁটুতে পেটানো হয়েছে। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।'

আদালতে তোলার আগের রাতে মেয়েকে ঘুমাতে দেয়া হয়নি জানিয়ে বাবা মোজাম্মেল হক আরও জানান, 'তাকে সারা রাত দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এমনকী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেও দেয়া হয়নি।'  

এসব কিছুর পেছনে বরগুনার ক্ষমতাশালী মহলটি জড়িত এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এক নম্বর সাক্ষী থেকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে বরগুনার একটি কুচক্রী মহলের কারণে।’

কুচক্রী মহলের কারা জানতে চাইলে মিন্নির বাবা বলেন, ‘যারা বরগুনায় নয়ন বন্ড তৈরি করেছে, ইয়াবা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, যে প্রভাবশালী মহলের নাম ইতিপূর্বে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তারাই আমার মেয়েকে সাক্ষী থেকে আসামির কাঠগড়ায় এনেছে। এমন কি মিন্নিকে ঢাকা থেকে যেন জামিন করাতে না পারি সেজন্য সেই কুচক্রী মহল তখন ঢাকায় অবস্থান করছিল।’

মিন্নি বাসায় এসে চুপচাপ হয়ে গেছে জানিয়ে মোজ্জাম্মেল হক কিশোর বলেন, ‘একদিকে স্বামী হারানোর শোক, অপরদিকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা। সব মিলিয়ে মিন্নি ভালো নেই’।

 

টাইমস/এমএস/এসআই 

Share this news on: