রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট চার বছর আগে থেকেই অগ্নিঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এবার দোকান খোলার আগ মুহূর্তে মার্কেটের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়, আর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো গেলেও পুড়ে গেছে গোডাউনে থাকা বৈদ্যুতিক ও মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজসহ নানা পণ্য।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে মার্কেটটির পঞ্চম তলার একটি গোডাউনে আগুনের শিখা দেখতে পান দোকানীরা। মুহূর্তেই ধোঁয়ার কুণ্ডলি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলোতেও।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে একে একে যোগ দেয় ৯টি ইউনিট। আগুনের তীব্রতা খুব বেশি না হলেও ধোঁয়ার কুণ্ডলির কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। তার ওপর দোকানের মালামাল সরাতে ব্যবসায়ীরা বার বার ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করে। এ সময় মাইকিং করেও মার্কেট খালি করতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এ কাজে তাদেরকে সহায়তা করে সেনাবাহিনী।
আগুনে পুড়ে যায় গুদামে থাকা বৈদ্যুতিক বাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মোবাইল এক্সেসরিজ। গুদামে থাকা পণ্য পুড়ে যাওয়ার খবরে অনেকেই আবারও চেষ্টা করেন ভেতরে প্রবেশের। কেউ কেউ যথা সাধ্য চেষ্টা করেন নিজেদের পণ্য বাঁচানোর।
শুক্রবার বন্ধ থাকা এই মার্কেটে পরের দিনের শুরুতেই এমন ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন অনেক ব্যবসায়ী। যদিও আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় সকায় ১১ টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্কেটে ফায়ার সেফটি নেই উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ৪ বছর আগেই ভবনটিকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ে বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেফটি নেই। বার বার আমরা নোটিশ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। প্রতিবারই আমরা এ ভবনটাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। এলোমেলো তারের কারণেও আগুন এক দিক থেকে আরেক দিকে চলে গেছে; প্রচণ্ড ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
টিএ/