স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই ছাত্রদলের কাউন্সিল হবে: দুদু

ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর দেয়া আদালতের স্থগিতাদেশ আইনি লড়াই চালিয়ে তোলার পরই  কাউন্সিলের আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

শনিবার বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুদিন আগে ছাত্রদলের এক নেতার আবেদনে আদালত কাউন্সিল স্থগিত করে।

স্থগিতাদেশের পর করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার সাবেক ছাত্রনেতারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আইনজীবীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের শামসুজ্জামান দুদু এবারের কাউন্সিল পরিচালনায় গঠিত আপিল কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

শনিবার শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমরা আদালত যাব, এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় শনিবার সকালে বন্ধ ছিল। তবে সামনের সড়কে কয়েকশ কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

‘অনেক আশা নিয়ে আমরা ১৪ সেপ্টেম্বরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম- নির্বাচন হবে, আনন্দ করব। সব কিছুই ওলট-পালট হয়ে গেল’- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের কর্মী সোহরাব হোসেন।

‘সরকারের যোগসাজশেই আদালত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু এতে ছাত্রদলের কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে’- বলেন তিনি।

কাউন্সিল পরিচালনায় যুক্ত ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববারই আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে।

ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: