চট্টগ্রামে জেলা নির্বাচন অফিসে দুদকের অনুসন্ধান

 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার দুপুরে নগরীর লাভ লেনের জেলা নির্বাচন অফিসে যান দুদকের একটি দল।

দুদক সন্দেহ করছে, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার পেছনে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকতে পারেন। দুদকের এই দলটি গত বুধবারও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।

প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন বলেন, নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গাদের পক্ষে ভোটার হওয়া সম্ভব নয়। জেলার পাঁচলাইশ থানার একটি ল্যাপটপ (আইপি ৪৩৯১) পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ল্যাপটপের বিষয়ে থানায় কোনো জিডিও (সাধারণ ডায়েরি) হয়নি। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া সংক্রান্ত কিছু তথ্য ওই ল্যাপটপে থাকতে পারে।

শরিফ উদ্দিন আরও বলেন, রোহিঙ্গারা কাদের সহায়তায় এনআইডি বা স্মার্ট কার্ড এবং পাসপোর্ট পাচ্ছে, এটা অনুসন্ধানের জন্য পাসপোর্ট কার্যালয় এবং নির্বাচন অফিসে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিস থেকে দুদককে ৫৪ জনের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা দুই দফায় এখানে এসে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ভোটার হওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেছেন। রোহিঙ্গা ভোটার হওয়া সংক্রান্ত ইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনও তারা নিয়ে গেছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: