এরশাদের আসন থেকে সরে গেল আ.লীগ

দলীয়ভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে গেলো শাসক দল আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া আসনটি জাতীয় পার্টিকেই ছেড়ে দিয়েছে দলটি। এখানে এরশাদের উত্তরসূরী হিসেবে তার ছেলে সাদ এরশাদ লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ইভিএম পদ্ধতিতে আগামী ৫ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এতোদিন নৌকার প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া থাকায় সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল চাঙ্গা ভাব। তবে হঠাৎ করেই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। এমনকী দলীয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে রংপুরে সড়ক অবরোধও করেছেন।

সোমবার বিকেল চারটায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে নির্বাচনী কার্যালয়ে যাওয়ার পথে শহরের কাচারি বাজার এলাকায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের পথরোধ করে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিরোধিতা করে এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, সবাই যখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত, ঠিক এমন সময় খবর এল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা যে উচ্ছ্বাস নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিল, তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়ে গেল।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এখন প্রার্থী থাকলেন ছয়জন।তারা হলেন জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, বিএনপির রিটা রহমান, প্রয়াত এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ শাহরিয়ার, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লহ ও খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল।

মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘আশা ছিল এবার হয়তো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু মহাজোটের রাজনীতির কারণে অবশেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হলো। এখানে আমার কিছুই করার নাই।’

রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।

 

টাইমস/এমএস 

Share this news on: