খুলনায় ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় দশ বছর আগে শিশু আফসানা মিমিকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

বুধবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ড ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডিতরা হলেন- খুলনা নগরীর বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- খালিশপুরের বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলি (২৪), মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনির শিশু আফসানা মিমি(১০) ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তার বাবা ওই রাতেই খালিশপুর থানায় এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন বিকালে তার লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যরা বাদীর মেয়েকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার ওসি আবু মোকাদ্দেশ আলী ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিদের মধ্যে চারজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম। আর আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পারভেজ আলম খান, আব্দুল লতিফ ও মনজুর আহমেদ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: