ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদে দায়িত্ব পান ফারুক আহমেদ। তবে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৯ মাসের মাথায় নানা অভিযোগের কারণে তাকে বিসিবির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্কভিত্তিক টেলিভিশন ঠিকানা টিভি এর প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় এক টকশোতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, ফারুকের মনোযোগ ক্রিকেট উন্নয়নের চেয়ে আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কৌশল নিয়েই বেশি ছিল। এ কারণেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত বিপিএলের ঘটনাবলিও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ফারুক ভাইকে তো আমরাই ক্রিকেটে এনেছিলাম। ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই তাকে দায়িত্বটা দেওয়া হয়। এনএসসির কোটায় তাকে পরিচালক করা হয়েছিল, পরে তিনি বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন। বোর্ডে আরও ৯জন ডিরেক্টর আছেন। এর মাঝে ৮জন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যে, ফারুক আহমেদ স্বেচ্ছাচারিতা করছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না এবং গত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে কী হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বিপিএল নিয়ে মন্ত্রণায়ল থেকে একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রণালয় তাকে বলা হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের যে দল (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হচ্ছে, তারা একটি টিম পরিচালনার মতো দক্ষ নয়। দিনশেষে সেটাই হয়েছে। তারা দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলোকে কি আপনি ব্যর্থতা বলবেন না?
সাবেক বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে ক্রমাগত অবনতি, এবং আমি দেখেছি যে, ক্রিকেটের চেয়ে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি হয়ে আসা যায়। সেজন্য ক্লাব কীভাবে নেওয়া যায় (পক্ষে) এবং বিজনেসের দিকেই তার আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। আমরা গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছুই করিনি। মন্ত্রণালয় চাইলে এনএসসির মনোনয়ন উইথড্র করতে পারে। আমরা সেটাই করেছি এবং নতুন একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি। যিনি এখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।
এসএন