আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত : মির্জা ফখরুল

নির্বাচন কমিশন (ইসি), পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একজোট হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে কোনোভাবেই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করছি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একজোট হয়েছে। আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত।

শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিচার বিভাগ পক্ষপাতিত্ব আচরণ করছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করছে। সিলেট-২ আসনের প্রার্থী তাহসিনা রুশদির লুনা শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে তিন বছর আগে কেন পদত্যাগ করেননি, সেজন্য মনোনয়ন বাতিল করেছে। অথচ ড. এনামুল হক সরকার জৈন্তাপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে থাকলেও তার মনোনয়ন বাতিল হয়নি। এখন হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা কি বলবো। আমার দলের প্রার্থীকে হবে সেটাও হাইকোর্ট বলে দিচ্ছে। তাহলে সেই হাইকোর্টকে কীভাবে বিশ্বাস করবো।

নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের বৈধতা দেয়ার পর সেই প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের এখতিয়ার হাইকোর্টের আছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ফখরুল বলেন, আমাদের ১৫ জন প্রার্থী কারাগারে, সাত জনের প্রার্থীতা বাতিল, ২৫ জনের ভাগ্য আদালতে ঝুলছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এবার সেটা হয়নি। তাই ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে একের পর এক প্রার্থী বাতিল করছে।

নির্বাচনে প্রতিপক্ষ কে এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির ওই নেতা বলেন, নির্বাচনের মাঠে কার সঙ্গে লড়াই করছি বুঝতে পারছি না। আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নেতাকর্মীদেরকে বাসা থেকে গ্রেফতার, জেলগেট থেকে গ্রেফতার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রার্থীরাও পর্যন্ত বাদ যাচ্ছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়্যুম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on: