শুকনো কফ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

মেডিকেলের ভাষায় শুকনো কফকে বলা হয় আনপ্রোডাক্টিভ কফ। কারণ, এটি সাধারণ কফের মত আপনার ফুসফুস থেকে মিউকাস, ফ্লেজম অথবা যন্ত্রণাদায়ক পদার্থগুলি বের করে দেয় না।

ঠাণ্ডায় বা ফ্লুতে আক্রান্ত হবার পর বেশ কয়েক সপ্তাহ এই শুষ্ক কফ আপনার বুকে জমে থাকতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে শুষ্ক কফ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

দীর্ঘদিন ধূমপানের মতো বদভ্যাসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও হয়ে থাকতে পারে।

শুষ্ক কফ খুবই অস্বস্তিকর এবং প্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু সবারই এটা হতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকগুলি ডাক্তারি চিকিৎসা রয়েছে; আবার বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই খুব কার্যকর।

চলুন জেনে নিই শুকনো কফ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়-

মধু

শুষ্ক কফ নিরাময়ের জন্যে প্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু উভয়ের জন্যেই মধু হতে পারে চমৎকার সমাধান। তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুকে মধু খাওয়ানো যাবে না।

মধুতে থাকা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান গলায় এক ধরনের আবরণ সৃষ্টি করে, যার ফলে খুসখুসে ভাব দূর হয়। আপনি সরাসরি চামচে করে মধু খেয়ে নিতে পারেন। চা কিংবা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান করা যায়।

হলুদ
হলুদে কারক্যুমিন রয়েছে, যা একই সঙ্গে প্রদাহ নাশক, ভাইরাস বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান। ফলে এটি শুষ্ক কফ নিরাময়ে বেশ কার্যকরী।

আপনি গরম পানিতে ১ চা-চামচ হলুদের সঙ্গে ১/৪ চা-চামচ গোল মরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি এটি কমলার জুস বা চায়ের সঙ্গেও মেশাতে পারেন।

আদা
আদা ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহ বিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়।

চায়ের সঙ্গেও আদা মিশিয়ে খাওয়া যায়। আদা-চা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় এবং এটি বেশ সুস্বাদু।

পিপারমিন্ট
পিপারমিন্টে মেনথল থাকে, যা কফের ফলে উত্তেজিত গলার নার্ভগুলোকে অবশ করে দেয়। ফলে কফের কারণে সৃষ্ট যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং বারবার কাশি হওয়া থেমে যায়।

পিপারমিন্টেও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বিরোধী উপাদান রয়েছে।

অনেকভাবেই পিপারমিন্ট গ্রহণ করা যায়। আপনি চা বা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন। বর্তমানে পিপারমিন্ট সমৃদ্ধ লজেন্সও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

মশলা-চা
মশলা-চা যুক্তরাষ্ট্রে প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ভারতে এটি শুষ্ক কফ নিরাময়কারী হিসেবে পরিচিত।

মশলা-চায়ে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি প্রভৃতি একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান মিশ্রিত থাকে। এলাচ শুষ্ক কফ নিরাময়কারী হিসেবে বেশ কার্যকর, দারুচিনি প্রদাহ নাশক হিসেবে পরিচিত।

লবণ পানিতে কুলি করা
লবণ মিশ্রিত মৃদু গরম পানিতে কুলি বা কুলকুচা করলে শুষ্ক কফের ফলে সৃষ্ট অস্বস্তি ও উপদ্রব কমে যায়। লবণ পানি মুখ ও গলার ব্যাকটেরিয়াগুলি বিনষ্ট করে।

এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে একাধিক বার কুলি করুন। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: