দিনের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

দিনের বেলা যারা ঘুমাতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সুসংবাদ- নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই একবার দিনের বেলা ঘুমালে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

সুইজারল্যান্ডের লাওস্যান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গবেষকরা ঘুমের পুনরাবৃত্তি ও ব্যাপ্তিকালের সঙ্গে সাধারণ ও জটিল হৃদরোগের সম্পর্ক নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা দিনের বেলা সপ্তাহে এক দুইবার, পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মতো ঘুমান, তাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হার্ট ফেইল্যুরের সম্ভাবনা ৪৮% কমে যায়। ৩৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৩,৪৬২ জনের উপর পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে এই নিরীক্ষাটি চালানো হয়েছে।

ব্রিটিশ কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির হার্ট জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, দিনের বেলা ঘুমের সময়কাল বেড়ে গেলে বা সপ্তাহে দুইবারের বেশি ঘুমালে তখন আর এই হিসেব কাজ করবে না।

গবেষকরা বলেন, যদিও ঘুম আর হার্টের সম্পর্ক নিয়ে বহু গবেষণা অতীতে হয়েছে, তবে তার অনেকগুলি গবেষণাই ঘুমের পুনরাবৃত্তি ও ব্যাপ্তিকাল নির্ণয়ে ব্যর্থ ছিল।

গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক নাদিন হোসলার এ বিষয়ে বলেন, “যিনি সপ্তাহে একবার বা দুইবার ঘুমান তার হৃদরোগের ঝুঁকি কম, তবে যারা তার থেকে বেশি ঘুমান তাদের জন্য এ কথা প্রযোজ্য নয়”।

এ বিষয়ে স্টিফেন ম্যাকমহন বলেন, “অতীতে জানা গেছে যে, ঘুমের প্যাটার্ন অনেক জটিল রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তবে অনেক সময় কার্যকারণ (কেন হচ্ছে) নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, বিশেষত হৃদরোগের ক্ষেত্রে। দেখা যায়, দীর্ঘদিন এটি সুপ্ত অবস্থায় থাকার পর হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে”। স্টিফেন ম্যাকমহন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির জর্জ ইন্সটিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

গ্লাস্কো ইউনিভার্সিটির মেটাবলিক মেডিসিনের প্রফেসর নাভিদ সাত্তার বলেন, এই গবেষণাটি বেশ চিত্তাকর্ষক, যারা সপ্তাহে এক দুইবার ঘুমান তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, কিন্তু যারা দিনের বেলায় প্রতিদিন ঘুমান তারা আসলে অসুস্থ।

গবেষণায় আরও জানা যায় যে, যারা খুব বেশি ঘুমাতে অভ্যস্ত তারা দ্রুত বার্ধক্যে উপনীত হন। তাছাড়া যারা রাতে খুব বেশি ঘুমান, তারা দিনের বেলাতে আরও বেশি ঘুম ঘুম অনুভব করেন। তাই খুব বেশিও নয় আবার খুব কমও নয়, ঘুম হতে হবে পরিমিত। পাশাপাশি সপ্তাহে দিনের বেলা এক দুইবারের হালকা ঘুম আপনাকে বাড়তি সুস্থতা এনে দেবে। তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ