বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হল থেকে আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবরার তার ফেসবুক একাউন্টে শেষ স্ট্যাটাসটি দেন ৫ অক্টোবর এবং এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর দেন আরেকটি স্ট্যাটাস। বাংলাদেশ টাইমস- এর পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হল।
৫ অক্টোবরের স্ট্যাটাসে আবরার লিখেছেন, “১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩.কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
"পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”
৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ট্যাটাসটিতে লিখেন,“কে বলে হিন্দুস্তান আমাদের কোন প্রতিদান দেয়না। এই যে ৫০০ টন ইলিশ পাওয়া মাত্র ফারাক্কা খুলে দিছে। এখন আমরা মনের সুখে পানি খাবো আর বেশি বেশি ইলিশ পালবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছর এক্কেবারে ১০০১ টন ইলিশ পাঠাবো।”
আঘাতের কারণেই আবরারের মৃত্যু: চিকিৎসক
আবরার হত্যায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
বুয়েটে গভীর রাতে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
টাইমস/এইচইউ