নানা অনিয়ম ও অভিযোগের মুখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে দায়িত্বে ছিলেন। এরমধ্যে চাকরির মেয়াদ শেষ হলে সরকার তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়। এর আগে তিনি এই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) দায়িত্বে ছিলেন।
নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের নাম বিবেচনায় রয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম-পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি নানা অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন পাওয়া রিজেন্ট হাসপাতাল এবং নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজির নজিরবিহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণার পর মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাজে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ্য আসে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দু’দফা কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়।
পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুক্তিটি করা হয়েছিল। এই বক্তব্যের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল। ওই সময়সীমার শেষদিন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছে নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
টাইমস/এইচইউ