৩৫ বছর বয়সী জুলহাস। বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। বাবার নাম আখতার। ২১ এপ্রিল কাজের কথা বলে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। পরে তার সঙ্গে আর পরিবারের যোগাযোগ ছিল না।
শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মতিঝিলের বিশ্বাস টাওয়ারের সামনে এক ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন— খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ গিয়ে দেখেন, অসুস্থ ব্যক্তির মাথায় লোকজন পানি ঢালছেন। সেখান থেকে অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে জুলহাসের লাশের ময়নাতদন্তের সময় পেটে ১১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তের সময় এক যুবকের মরদেহের পেটে ইয়াবার ১১টি প্যাকেট পাওয়া গেছে। একেকটি প্যাকেটে ২০ থেকে ২৫টি করে ইয়াবা ছিল। তিনি জানান, বিষয়টি মতিঝিল থানাকে জানানো হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, তারা সন্দেহ করছেন, জুলহাস মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। পাচারের উদ্দেশে হয়তো তিনি এসব ইয়াবা বড়ি পেটে বহন করছিলেন।
জুলহাসের ছোট ভাই মেহেদি হাসান জানান, তার ভাই ২১ এপ্রিল কাজের কথা বলে এলাকা থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। পরে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না।
টাইমস/এসআই