নারায়ণগঞ্জে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ‘কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে’ জবানবন্দি দেওয়া তিন আসামির মধ্যে একজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। খলিলুর রহমান নামে ওই আসামি পেশায় নৌকার মাঝি।
বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের শুনানিতে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ মিঞা।
খলিলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, মঙ্গলবার খলিলুর রহমানের জামিন আবেদন করা হলে বুধবার আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি। এক মাস পর ৬ আগস্ট জিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এই মামলায় ৭ আগস্ট পুলিশ গ্রেপ্তার করে জিসা মনির কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটো চালক রকিবকে। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট গ্রেপ্তার তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ধর্ষণের পর হত্যা করে তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। কিন্তু গত ২৩ আগস্ট সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সর্বত্র।
আরও পড়ুন
না’গঞ্জে মৃত ছাত্রী জীবিত: মামলার নথি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের হাইকোর্টে তলব
না’গঞ্জে ধর্ষণ-হত্যার ৫১ দিন পর জীবিত কিশোরী: স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনায় মামলা
টাইমস/এইচইউ