বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র চিরবিদায় নিয়েছেন কয়েকদিন আগেই। কিন্তু বিদায়ের পরও তাঁকে ঘিরে আবেগের ঢেউ থামছে না। দিন দশেক পর হরিদ্বারের পবিত্র গঙ্গার তীরে অনুষ্ঠিত হল তাঁর শ্রাদ্ধ ও অস্থি বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তদের আবেগ আরও উথলে উঠল সেইসব মুহূর্ত নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই।
সোমবার রাতে সানি দেওল, ববি দেওল এবং করণ দেওল পৌঁছে যান হরিদ্বারে। পরদিন সকালেই কঠোর নিরাপত্তায় পিলভিট হাউস ঘাটে শুরু হয় পুজোপাঠ। শেষ শ্রদ্ধা ও শান্তির অনুষ্ঠান শেষে পুরোহিতের নির্দেশে গঙ্গার হর কি পৌরি ঘাটে ধর্মেন্দ্রর অস্থি বিসর্জন করেন নাতি করণ দেওল। সাদা-নীলের তোয়ালে জড়ানো তিন প্রজন্মের এই দৃশ্য নিঃশব্দে বুক কাঁপিয়ে দেয় উপস্থিত সবাইকে।
অস্থি বিসর্জনের পর আবেগ সামলাতে পারেননি ববি দেওল। কান্নায় ভেঙে পড়া ছোট ভাইকে জড়িয়ে ধরলেন সানি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা করণকেও আগলে রাখেন ববি। পরিবারের এই নিসংকোচ শোক মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ভক্তরা বলছেন, পর্দার নায়ক ধর্মেন্দ্র সত্যিই রেখে গেলেন ঐতিহ্য, পরিবার আর ভালোবাসার অমূল্য উত্তরাধিকার।
তবে চোখে পড়ে একটি অনুপস্থিতি হেমা মালিনী। শেষকৃত্য থেকে শুরু করে অস্থি বিসর্জন পর্যন্ত কোথাও দেখা যায়নি তাঁকে। কেন তিনি উপস্থিত ছিলেন না, তা নিয়ে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দীর্ঘ দাম্পত্যের সম্পর্ক কি শেষ সময়ে এতটাই দূরত্ব তৈরি করেছিল? যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সবশেষে নিজেদের শোকঘন দায়িত্ব শেষ করে দেওল পরিবার রওনা দেন জলি গ্র্যান্ট বিমানবন্দরের উদ্দেশে। অভিনেতার দীর্ঘ কর্মজীবন, ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব এবং মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁকে আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত রাখছে। গঙ্গার জলে ভেসে গেল শরীরের অবশেষ, কিন্তু রইল এক অনন্ত স্মৃতি, রইল এক কিংবদন্তির গল্প।
আরপি/এসএন