দয়ালের ডাকে না ফেরার দেশে এনন্ড্রু কিশোর

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কিংবদন্তি গায়ক এন্ড্রু কিশোর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ৬৫ বছর বয়সি ওই গায়ক সোমবার সন্ধ্যায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতেই মারা যান এন্ড্রু কিশোর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে গত ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর থেকে রাজশাহীতে বোনোর বাসায় থাকছিলেন। তার দেখভাল করছিলেন বোনজামাই চিকিৎসক ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস।
তবে গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তার। অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়।

এর আগে এন্ড্রু কিশোর মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়লে সে রাতেই তার স্ত্রী লিপিকা স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করে লিখেছিলেন, ‘এখন কিশোর কোনো কথা বলে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। আমি বলি কি ভাব, বলে কিছু না, পুরানো কথা মনে পড়ে আর ঈশ্বরকে বলি আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও, বেশি কষ্ট দিও না। ক্যান্সারের শেষ ধাপে খুব যন্ত্রণাদায়ক। এন্ড্রু কিশোরের জন্য সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করবেন, যেন কম কষ্ট পায় এবং একটু শান্তিতে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে পারে।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’ প্রভৃতি। এন্ড্রু কিশোর আটবার চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: