বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা মহামারীর দ্বিতীয় সংক্রমণ চলছে। বিশেষ করে শীত প্রধান দেশগুলোতে দ্বিতীয় দফায় জেঁকে বসেছে করোনা। বাংলাদেশেও শীত আসন্ন। কাজেই শীতে বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে। কাজেই এখন থেকেই সতর্কতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বিষয়ে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে রোববার রাতে এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে ওই কমিটি।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত করা হচ্ছে। অনেক দেশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। যা দ্বিতীয় সংক্রমণকে আরও মারাত্মক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শীত আসন্ন। শীতের সময় মানুষের শরীরের ইমিউনিটি কমে যায়। কাজেই শীতের সময় বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। যদিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। তবুও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ রোধে এখন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করতে জনগনের ওপর আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। কারণ পরিস্থিতি যদি একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের জন্য তা হবে ভয়ানক।
কমিটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব হাসপাতালে এখন থেকে আইসোলেশন সেন্টার বাড়ানো দরকার। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, অক্সিজেন সরবরাহ সন্তোষজনক নয়। এসব সুবিধা এখন থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।
একই সঙ্গে সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কমিটি জানিয়েছে, করোনায় যারা একবার আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। কাজেই এটা ভাবার অবকাশ নেই যে, একবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। দেশের মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে একটা উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। যা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বয়ে আনতে পারে। কাজেই সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই।
টাইমস/এসএন