ইসরায়েলের ১৩ মাস ধরে চলমান আগ্রাসনে লেবাননে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার (০৪ অক্টোবর) লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
সোমবার রাতে মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ৩ হাজার ২ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৪৯২ জন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৮৯ জন নারী এবং অন্তত ১৮৫ জন শিশু রয়েছে।
ইসরায়েল দাবি, তাদের আক্রমণে শত শত হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে বোমা বিধ্বস্ত লেবাননের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ইসরায়েলের ব্যাপক ও নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে প্রচুর সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, লেবাননে গত এক মাসে প্রতিদিন কমপক্ষে একজন শিশু নিহত হয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, এই বছরের ৪ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে একজন শিশু নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের মোট জনসংখ্যা ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন। তার মধ্যে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ শহর, গ্রাম ও রাজধানী বৈরুতের বিভিন্ন এলাকা থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর আক্রমণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ৭২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন ইসরায়েলি সেনা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। দেশটির উত্তরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বহু হতাহত এবং লেবাননের অবকাঠামো ও বেসামরিক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত থাকায় এই যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে, এমন সম্ভবনাও কম। গত শুক্রবার লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন।