প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এসময় পূর্বসূরি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮ টি নির্বাহী আদেশ বাতিলের নথিতে সই করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আশার পাশাপাশি ডব্লিউএইচও থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করতে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প।
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে ট্রাম্প জানান, এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এত দিন অন্য সদস্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অন্যায্য পরিমাণে’ অর্থ অনুদান দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে কোভিড-নাইন্টিন ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ব্যর্থ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। অভিযোগ করেন, এই সংস্থার দূরদর্শিতার অভাবেই করোনায় এত ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তীব্র সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।
এর জেরে সে বছরই ডব্লিউএইচও থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এই রিপাবলিকান। ২০২০ সালের জুলাই মাসে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপও নেন ট্রাম্প। সংস্থাটির প্রতি বিষেদগারে হুমকি দেন সব ধরনের তহবিল বন্ধের।
কাজেই এ মেয়াদে তার নির্বাহী আদেশ মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করবে। এমনকি ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশটির জন্য আরও কঠিন করে তুলবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনা মঞ্চে প্রথম ভাষণের পর, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেন। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেয়া, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্তের আদেশেও সই করেন এই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
টিএ/