বাইডেন প্রশাসনের শাসনামলে নানাভাবে উপেক্ষিত যুক্তরাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। দেশের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম ও নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮ টি নির্বাহী আদেশ বাতিলের নথিতে সই করেন এই রিপাবলিকান। ঘোষণা করেন একাধিক জাতীয় নীতি।
আনুষ্ঠানিক শপথ শেষে অভিষেক ভাষণে ঘোষণা দেন আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরুর। অবৈধ অভিবাসী অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং অভিবাসী সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর ঢল ঠেকাতে ফের চালু করেন রিমেইন ইন মেক্সিকো নীতি।
ক্যাচ অ্যান্ড রিলিজ পদ্ধতি বন্ধ করে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনেরও ঘোষণা দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই সঙ্গে মাদক কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশ দেন তিনি।
জ্বালানি ও অর্থনীতি খাতেও জাতীয় জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ইলেকট্রিক কার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেন তিনি। বাতিল করেন ‘গ্রিন নিউ ডিল’। জ্বালানি সাশ্রয়ের চিন্তা পরিবর্তন করে দেশের তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশ দেন এই প্রেসিডেন্ট। অঙ্গীকার করেন যুক্তরাষ্ট্রকে ফের জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার।
নির্বাচনি ম্যান্ডেট পূরণে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সরকারি নীতিতে কেবল দুটি লিঙ্গ- নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। এর বাইরে আর কোনো লিঙ্গ পরিচয় থাকবে না। এছাড়া সেনাবাহিনীর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ ও করোনাভাইরাস টিকার বিরোধিতার দায়ে বরখাস্ত সেনাসদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন তিনি।
ফেডারেল সরকারে ফ্রি স্পিচ পুনরুদ্ধার ও সব ধরনের গোপনীয় ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে সব বর্ণ, ধর্ম এবং সম্প্রদায়কে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
টিএ/