একজন কিংবদন্তি যিনি দীর্ঘ ২৪ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবিরাম খেলে গেছেন, কিন্তু তার মা কখনো তাকে মাঠে খেলতে দেখেননি তাকে। শচীন টেন্ডুলকারের জীবনে সেই মুহূর্তটা ছিল একেবারে বিশেষ, যখন মাকে দেখাতে চেয়েছিলেন, কেন তিনি এত বছর ধরে বাড়ি ছাড়তেন!
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা শচীন টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন। এই মাঠটিই শচীনকে দিয়েছে দুটি বিশাল মুহূর্ত। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত এবং পরবর্তী বছরে নিজের বিদায়ী ম্যাচ। তবে তার জন্য সবচেয়ে আবেগময় মূহুর্ত ছিল এই মাঠের সঙ্গে জড়ানো অন্য একটি স্মৃতি।
২০১৩ সালের সেই বিশেষ ম্যাচের আগে শচীন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর শেষ ম্যাচটি খেলার অনুরোধ করেছিলেন বিসিসিআই প্রধান শ্রীনিবাসনকে। কেননা, ২৪ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলার পরেও শচীনের মা কখনোই তাকে মাঠে খেলা দেখেননি। তার মা শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও, মুম্বাইয়ের বাসা থেকে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন এই শেষ ম্যাচে।
মাকে দেখাতে চেয়েছিলাম, ২৪ বছর ধরে আমি কিসের জন্য বাড়ি ছাড়তাম। তার অনুরোধ মেনে, বিসিসিআই তাকে এই বিশেষ সুযোগ দিয়েছিল।
তবে তার বিদায়ী ম্যাচটি ছিল শুধুই মায়ের জন্য নয়, শচীনের নিজের জন্যও এক স্মরণীয় মুহূর্ত। খেলতে গিয়ে, সম্প্রচারের সময় বড় স্ক্রিনে তার মায়ের মুখ দেখিয়ে, তার আবেগের ধারা আর থামানো যায়নি। তিনি আরও বলেছেন, মনে হচ্ছিল, ক্যামেরাম্যানরা যেন আমার আবেগ নিয়ে খেলছে।
শচীন টেন্ডুলকারের ক্রিকেট জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সুবর্ণজয়ন্তীতে তার স্মৃতিচারণ সেই আবেগের প্রমাণ।
টিএ/