বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি কিছুদিন আগে আলোচনায় এসেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা একটি ভিডিওতে। সে ভিডিওতে দেখা যায় এক ব্যক্তি চড়াও হয়ে ওঠেন রাফির ওপরে। সমন্বয়ক রাফির ব্যাপারে এবার নতুন খবর এলো চট্টগ্রামের রাউজানে হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মী।
মূল ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, ২০ জানুয়ারি বিকেলে রাউজানের উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হট্টগোলে কিছুক্ষণের জন্য সভা বন্ধ থাকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সভাস্থল থেকে আবদুল্লাহ আল হামিমকে আটক করে রাতে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে এ ঘটনায় ২১ জানুয়ারি ভোর চারটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মুহাম্মদ বেলাল ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী হামিমকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। হামিম রাউজানের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে করিমের ছেলে ফারাজ করিমের সংগঠন ‘সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের’ কর্মী ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
সভায় অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,২০ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় যোগ দেন খান তালাত মাহমুদ রাফি, রাসেল আহমদসহ সংগঠনের কয়েকজন নারী কর্মী। বিকেল ৫টার দিকে সভা চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ হামিমসহ ১০-১৫ জন ভেতরে ঢুকতে চায়। এ সময় অন্য ছাত্ররা তাতে বাধা দিলে হট্টগোল তৈরি হয়। বাধা পেয়ে আসামিরা রাফি ও কয়েকজন নারী কর্মীর ওপর হামলা করেন।
২০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে সভায় হট্টগোলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, কিছু ছাত্রলীগ কর্মী ছাত্রদের সভায় শিক্ষার্থী সেজে ঢুকে পড়তে চেয়েছিল। পরে ঢুলতে না পেরে তাঁরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মোট ২০ জন আসামি আছে। আবদুল্লাহ আল হামিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে ২১ জানুয়ারি দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টিএ/