অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হতে চাচ্ছে আওয়ামীলীগ

জুলাই আগস্টের গ্রাফিতিতে মেখে দেয়া হচ্ছে কালি। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে জয় বাংলা স্লোগান। পলাতক বিভিন্ন নেতা অনলাইনে ভিডিও বার্তা আর টকশো করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এভাবেই অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হতে চাচ্ছে আওয়ামীলীগ।

ফেসবুকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে হরতাল অবরোধের মতো বড় কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে দলটি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে তাদের এসব কর্মসূচি প্রতিহত করা হবে।

অনলাইনে পিছিয়ে নেই ছাত্রলীগও। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হয় প্রতি ঘন্টায় গড়ে দুটি করে। এসব পোস্টের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো নেতাকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে নানা পোস্ট। এছাড়াও বিভিন্ন গুজবও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের পেইজগুলো থেকে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ, সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাদের দেশত্যাগ এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও দলটির আটককৃত বিভিন্ন নেতাকর্মীর ছবিও পোস্ট করা হচ্ছে এসব পেইজ থেকে।

দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পাঠানো ছোটখাটো ঝটিকা মিছিলের ফুটেজও ছড়াচ্ছে তারা। একসময় ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবির যেমন ঝটিকা মিছিল নিয়ে বের হতো, সময়ের পালা বদলে এখন ছাত্রলীগের মিছিলের চিত্র অনেকটাই তেমন। তবে মাঠপর্যায়ে এখন পর্যন্ত দলটি একপ্রকার নিষ্ক্রিয়ই বলা চলে।

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরাতে লিফলেট বিলি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন দলটির এক কর্মী। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও একইদিনে ঢাবি এলাকায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ৫ কর্মী। তবে এর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে দলটিকে তেমনভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।

রাজধানীতে তেমন একটা সক্রিয় হতে না পারলেও দেশের বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় হওয়ার আভাস দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। তাদের সক্রিয় করতে কাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো। সুযোগ নেই দলের কোনো কার্যালয়ে প্রবেশের। তাই মাঠে ফিরতে ফেসবুকই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে আওয়ামীলীগের জন্য।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ