দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে টাস্কফোর্স। সীমিত শিক্ষা বাজেটের সঠিক ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভালো অবস্থান নিশ্চিতে, এ কৌশল নেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি প্রতিবেদনও জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধিভুক্ত ৭ কলেজের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করছে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও লাগাতার কর্মসূচী দিয়ে দাবি জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতির। তবে, বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণবিষয়ক টাস্কফোর্স বলছে সম্পূর্ণ উলটো কথা।
টাস্কফরোসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সীমিত শিক্ষা বাজেটের সঠিক ব্যবহার, সম্পদ ভাগাভাগির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভালো অবস্থান নিশ্চিতে সরকারের উচিত কিছু পাবলিক ও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে একীভূত করা।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গনমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই নিম্নমানসম্পন্ন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যেই এ একীভূতকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এবং কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা যেতে পারে বলে মত তার।
তবে, একীভূতকরণের অর্থ এই নয় যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। ক্যাম্পাসগুলো আগের জায়গায়ই থাকবে। শুধু তারা একই নামে পরিচালিত হবে। তবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে সরকারকে একীভূতকরণের উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭০ টি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫টি, আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৫টি। যার অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিগত সরকারের ১৫ বছরে। নতুন করে আরো ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছিলো আওয়ামীলীগ সরকার।
টিএ/