বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য মুখিয়ে রয়েছি: নরেন্দ্র মোদি

বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, বলে ভারত ছেড়েছেন নরেন্দ্র মোদি! যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ১২ ফেব্রুয়ারি আলোচনায় বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি দুদিনের ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখান থেকেই যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যে বৈঠকটি হবে তাতে কোন পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য পাবে, এর আগে বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদি জানিয়েছেন, তার এই সফর দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া বৃদ্ধির সুযোগ এনে দেবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম পর্বের কথা উল্লেখ করে মোদি জানান, দুই দেশের সমঝোতা আরও গভীর হবে। সেই সূত্রেই তিনি প্রযুক্তি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং সরবরাহ শৃঙ্খল— এই পাঁচ ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন।

ওই বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ফ্রান্স থেকে দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি। বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে উত্থাপিত হতে চলা পাঁচ বিষয়ের কথা মোদি জানালেও, অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন এবং শুল্কনীতির মতো বিষয়ও দুজনের আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের যার যার দেশে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। প্রথম দফায় ফেরানো হয়েছে ১০৪ অবৈধ ভারতীয়কে। তবে অবৈধ ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে, শিকলে বেঁধে বিমানে করে ভারতে নিয়ে আসা হয়। ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির বিরোধীরা।

পাশাপাশি ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধে পরবর্তী নিশানা কারা হবে, এখন তা নিয়েই জল্পনা চলছে বিশ্ব জুড়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দেশগুলির পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক বসিয়েছেন, তাদের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ওয়াশিংটনের। ভারতের সাথেও এই ঘাটতি রয়েছে।

যদিও এখনও ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ব্যাপারে কোন ইঙ্গিত দেননি ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদী শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের আশ্বাস আদায় করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

টিএ/

Share this news on: