কখনো ইন-সুইং, কখনো আউট-সুইং আবার কখনো তাঁর দেড়শো কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা আগুনে ডেলিভারি, মাথার ওপর আছড়ে পড়া দুর্ধর্ষ বাউন্সার, কিংবা লেগ-স্টাম্প উপড়ে ফেলা নিখুঁত ইয়োর্কার। যার বোলিং রান-আপ দেখে ব্যাটার দের বুকে ধড়ফড় শুরু হয়, সেই বুকে কাঁপন ধরানো মিচেল স্টার্ক এবার থাকছেন না চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা এই পেসার। স্টার্কের আগে ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল মার্শ। এবার স্টার্কের সরে দাঁড়ানোয় ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।
স্টার্কের সরে যাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি জানিয়েছেন, ‘আমরা স্টার্কের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রতিশ্রুতি এবং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পারফর্ম করার যে অগ্রাধিকার তিনি দেন, সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। চোট ও প্রতিকূলতা সহ্য করে খেলেছেন এবং ক্যারিয়ারের অন্যান্য সুযোগ ছাড় দিয়ে দেশকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার অনুপস্থিতি অবশ্যই বড় ধাক্কা। তবে এটি অন্য কারো জন্য নিজেকে প্রমাণের সুযোগ তৈরি করবে।
মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস ইউনিটের শক্তিশালী স্তম্ভ। পাশাপাশি মার্শ ও স্টয়নিস ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বিশ্বের যেকনো দলকে দমিয়ে রাখার সক্ষমতা ছিলো এই পেস ইউনিটের। তবে এবার ফ্রন্টলাইন পেস আক্রমণ ছাড়াই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে অস্ট্রেলিয়া।