বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চলবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা ভদ্র মানুষ। কিন্তু আমাদের ভদ্রতাকে কেউ যাতে দুর্বলতা মনে না করে। ভদ্র মানুষেরা যখন শক্ত হয় তখন কেমন হতে পারে তা দেশের মানুষ দেখেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কারাবন্দি এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করে জামায়াত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা মনে করি সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে। একে একে মজলুমদের মুক্তি দিয়েছেন, সর্বশেষ মজলুমকেও মুক্তি দিন। এর মধ্যে যারা হারিয়ে গেলো তাদের তো ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তার প্রধান থাবা পড়েছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর। সেসময় দায়িত্ব নিয়েছেন এ টি এম আজহার। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদের প্রথম সাক্ষী এ টি এম আজহারকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এটিএম আজহারুল ইসলামের জীবন থেকে এক এক করে ১৩টি বছর হারিয়ে গেছে। এই ১৩টি বছর কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আর ১৩ মিনিটও তিনি জেলের ভেতর থাকুক আমরা তা আর চাই না।
এ টি এম আজহার কবে মুক্তি পাবেন তা সুস্পষ্ট জানিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা ভাবতেও পারিনি তার মুক্তিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজ থেকে তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমাবেশের শুরুও নেই শেষও নেই।
আমরা কখনো কারও সঙ্গে আপস করিনি উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফাঁসির কাষ্ঠে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের নেতারা কারও সঙ্গে আপস করেননি। তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য নানাস মহল থেকে আপস করার কথা বলা হয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নিবন্ধন জালিমরা কেড়ে নিয়েছিল, আপনারাও কি জুলুম করবেন? আর কোনো বৈষম্য আমরা মেনে নেবো না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, আপনারা বুক পেতে দিতে এখন পর্যন্ত ভয় পাননি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনারা কি আবারও রক্ত দিতে রাজি আছেন?
তিনি বলেন, সমালোচনা করবেন চুমু দিবো। কিন্তু চোখ রাঙাবেন না। আমরা চোখ রাঙানিতে পরোয়া করি না।