খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে আধিপত্যবাদী ছাত্র অপরাজনীতি ফিরিয়ে আনা, শিক্ষার্থীদের মারধর এবং মাইক কেড়ে নেয়ার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু দুপুর তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় কুয়েট ছাত্রদল ও বহিরাগত বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ হামলার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসিসহ অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ন্যাক্কারজনক এ হামলায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হওয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা। পাশাপাশি এ হামলায় যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা মনে করি, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন সবার লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্যহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যখন সারা দেশে সংস্কার ও নতুনভাবে দেশ গঠনের কাজ চলছে, তখন কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে বিভক্তকরণের আত্মঘাতী খেলায় মেতেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশ ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও দুর্বৃত্ত লালনের পথ বেছে নিয়েছে তারা।