২০১৩ সালের ২৯শে ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখেছিলেন শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার। তিনিই এখন ভোল পাল্টে শ্রমিক দলের নেতা বনে গেলেন। শুধু তাই ই নয় মামলাও ঠুকে দিয়েছেন সেই বালুর ট্রাক ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
বেসরকারি একটি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে দেলোয়ারের নানা কারসাজি। দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ভেঙেছিলো দেলোয়ারের পা। সেই ভাঙা পা কে পুজি করেই সাজিয়েছেন নতুন গল্প। দাবি করছেন বেগম জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রখতে অস্বীকৃতি জানালে তার কাছে চাওয়া হয় মোটা অংকের টাকা। সে টাকা না দেয়ায় আওয়ামীলীগের কর্মীরা ভেঙে দিয়েছেন তার পা।
তবে অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে জানা যায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে পা ভেঙেছিলো দেলোয়ারের। অথচ শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার তার মামলায় আসামী করেছেন এক ওসিকে। যে ওসি ঢাকা বিমানবন্দর থানায় দায়িত্ব পালন করেন ঘটনার তিন বছর পরে। দেলোয়ারের মামলার মূল আসামী এক রেন্ট কার ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী জানান, শ্রমিক লীগের নেতা থাকাকালীন তার ব্যবসার কাউন্টার দখল করেছিলেন এই দেলোয়ার।
অভিযুক্ত দেলোয়ার ২০১০ সালের বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদকের পদে ছিলেন বলে জানা যায়। এদিকে আবার ২০২০ সালে একই থানায় শ্রমিক দলেও লিখিয়েছিলেন নিজের নাম। দুই নৌকাতেই পা দিয়ে রেখে ৫ আগস্টের পরে সুবিধাজনক অবস্থান বেছে নিলেন দেলোয়ার হোসেন। নিজেকে দাবি করছেন ত্যাগী শ্রমিক দল নেতা হিসেবে।
তবে বেসরকারি ওই টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেলোয়ারের সব কারসাজিই এসেছে প্রকাশ্যে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানা অপকর্মের মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়। যদিও দেলোয়ার হোসেন দাবি করছেন তার শ্রমিক লীগ করার ব্যাপারটি মিথ্যা। তবে তার এ দাবি ধোপে টেকেনি তার চেনা জানা মানুষদের বক্তব্যেই।