ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা ফের বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের প্রবেশের বিনিময়ে ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রাত প্রস্তাব দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করা হলো।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ সোমবার ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে প্রবেশের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশকে এই জোটে সদস্যপদ দেওয়া হলে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ বলেছেন, “আমি এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না যে, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে প্রবেশ করানো এবং তারপরে মার্কিন সৈন্যদের অপরিহার্যভাবে ও বাধ্যতামূলকভাবে আর্টিকেল ফাইভের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে (প্রতিরক্ষায়) যুক্ত হতে বা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য সরাসরি মার্কিন সৈন্যদের মোতায়েনের কোনও সম্ভাবনা আছে।”
তিনি ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভকে পারস্পরিক-প্রতিরক্ষা ধারা বলে উল্লেখ করেন, যা সদস্যদের কোনো মিত্রের প্রতিরক্ষায় সবাই আসতে বাধ্য যদি কোনও রাষ্ট্র আক্রমণের শিকার হয় এবং সাহায্যের অনুরোধ করে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র একবারই তেমন আহ্বান জানিয়েছিল।
এর আগে ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পেলে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মূলত সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যায়িত করার পর তার এমন আগ্রহের কথা সামনে আসে। সেদিন জেলেনস্কি বলেন, “আপনারা যদি আমাকে এই চেয়ার থেকে সরে যেতে বলেন, তা করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। আর ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদের বিনিময়েও আমি তা করতে পারি।”
এদিকে ফক্স নিউজের সাথে ওই সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন কিয়েভের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের খনিজ সম্পদের উৎপাদনে যোগদানের বিষয়ে একটি চুক্তি “খুব অল্প সময়ের মধ্যে” সম্পন্ন হবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনে তার বিনিয়োগ রক্ষা করতে ইচ্ছুক, সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হবে।