এটিএম আজহারের লিভ টু আপিলের শুনানী ২৬ ফেব্রুয়ারি

অবশেষে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বহুল আলোচিত মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হলো। তবে এই শুনানীতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয়েছে কিনা প্রশ্ন তুলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে জামায়াতের এ নেতার লিভ টু আপিল করার অনুমতি পাবেন কি না। এসব বিষয়ে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি।

২৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারের রিভিউ শুনানি শুরু হয়। পরে শুনানি মুলতবি করা হয় বুধবার পর্যন্ত। এইদিন সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

আলোচিত এই মামলার আইনজীবী প্যানেলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের এ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি এদিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

আওয়ামী লীগের সময়ে দেয়া রায়কে প্রহসন বলে দাবি করে আসছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগকে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু ওইদিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনটি শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। যার আজ শুনানি হলো।

গত ২৩ জানুয়ারি আজহারুলের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন ওই সময়।

Share this news on:

সর্বশেষ