সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ ইনকিউবিশন প্রোগ্রাম

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আয়োজিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাণ ইনকিউবিশন প্রোগ্রাম ‘ফিল্ম ফর চেঞ্জ’। অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের উদ্যোগ ও আয়োজনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) জার্নালিজম, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগ এই প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করছে।

ন্যায্যতা ও সমতা প্রতিষ্ঠায় তরুণ নির্মাতাদের শক্তিশালী গল্পগুলোকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ কার্যালয়ে উদ্যোগটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

‘ফিল্ম ফর চেঞ্জ’ এর জন্য সারাদেশ থেকে জলবায়ু ন্যায্যতা, প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মানবিক সংকট, জেন্ডার-ভিত্তিক সমতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, শ্রমিকের অধিকার, পানি ও নদীর অধিকার কিংবা দেশের সামাজিক উন্নয়নে যেকোনো বিষয়ে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে গল্পের আহ্বান করা হয়।

শতাধিক গল্পের মধ্য থেকে সেরা ১০টি গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সুযোগ পাচ্ছেন। মাসব্যাপী এই কার্যক্রমে নির্মাতারা দেশসেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষকদের অধীনে চলচ্চিত্রের বিষয়গুলো শিখবেন। এই উদ্যোগের অক্সফ্যাম এসব শিক্ষার্থীদের চলচ্চিত্র নির্মাণে বৃত্তিও প্রদান করছে।

এই উদ্যোগ নিয়ে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এবং অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা বলেন, ‘অক্সফ্যাম শুরু থেকেই সামাজিক পরিবর্তনের জন্য স্টেরিওটাইপ ভাঙার জন্য কাজ করছে। ফিল্ম ফর চেঞ্জের মতো উদ্যোগটিও তারই অংশ। আমরা আশাবাদী এর মাধ্যমে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সিনেমার মাধ্যমে নতুন ধরণের গল্প বলতে চাইবে, যা তাদের কণ্ঠ তুলে আনবে যাদের কথা বলা হয় না, বলতে দেওয়া হয় না।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জেএমসি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. আফতাব হোসেন বলেন, ‘এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হওয়াটা আমাদের জন্য আনন্দের। এর মাধ্যমে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ে শেখার সুযোগ পাবেন এবং পেশাদার চলচ্চিত্রকার হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে যাবেন।’

ভাব, মিডিয়ার আইন এবং নীতি নিয়ে আলাপ করেন। অন্যদিকে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের ইনফ্লুয়েন্সিং, কমিউনিকেশনস এবং এডভোকেসি (আইক্যাম) বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম উন্নয়ন যোগাযোগ বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে আলোচনা করেন।

তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়াও, ফিল্ম ফর চেঞ্জ-উদ্যোগটি সচেতনতা, তরুণদের অংশগ্রহণ, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা তৈরির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Share this news on:

সর্বশেষ