স্টারমার আরও বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর তিন বছরের যুদ্ধ থেকে রুশ হুমকি দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যকে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এই তথ্যটি বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা থেকে।
মঙ্গলবার স্টারমার পার্লামেন্টে বলেন, প্রতিরক্ষা ব্যয় বার্ষিক ১৭০০ কোটি ডলার বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে বহির্বিশ্বের জন্য উন্নয়ন সহায়তা কাটছাঁট করে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষাখাতে জিডিপি বা মোট জাতীয় সম্পদের ২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হবে।
স্টারমার আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো “প্রজন্মগত প্রতিক্রিয়া” এবং স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রতিরক্ষা ব্যয় খাতে সবচেয়ে টেকসই বড় বৃদ্ধি”। তিনি বলেন, এটা প্রয়োজনীয় ছিল কারণ “(রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের মতো স্বৈরশাসকেরা কেবল শক্তিতেই সাড়া দেয়।”
স্টারমার বলেন, “আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে হবে, কারণ আমরা যদি স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে না পারি তাহলে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আমাদের নিরাপত্তার হুমকি কেবলই বাড়বে।”
স্টারমারের বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে যাওয়ার কথা রয়েছে। স্টারমার হাউস অব কমন্সে বলেন, “এবং সেকারণে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সংঘাতের প্রকৃতি যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও সুস্পষ্ট। এটা একটি নতুন যুগ যা আমাদেরকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে, যা আমারা অতীতে প্রায়শই একসঙ্গে এবং কঠোরভাবে করেছি।”
এর আগে ব্রিটেন বলেছিল, তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় দেশের জিডিপি বা মোট জাতীয় সম্পদের দুই দশমিক ৫ শতাংশতে বৃদ্ধি করবে। তবে কখন বা কবে নাগাদ সেটি করবে তার নির্দিষ্টি তারিখ উল্লেখ করেনি। সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত ৩২টি দেশের মধ্যে ব্রিটেনসহ ২৩টি দেশ তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের কমপক্ষে ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে থাকে।