অর্থপাচার মামলায় খালাস তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাজা বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ, সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজার রায় স্থগিত করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টি দুর্নীতির মামলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অর্থ পাচারের এ মামলাটি। এ মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পান তারেক রহমান। যে বিচারক এ মামলায় তাকে খালাস দেন ওই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় এক সময়।

পরে এ খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এখানে এসে তারেক রহমানকে দেয়া হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা। তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্য মামলার সঙ্গে অর্থ পাচার মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও। যার শুনানি হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে দুইজনেরই সাজার রায় স্থগিত করেন সর্বোচ্চ আদালত।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৪ টি মামলা হয়। এরমধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় জিতেছেন তারেক রহমান। দণ্ড হওয়া আরও ৩ মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

আরএইচ/টিএ

Share this news on: