মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ

রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মাইকেল চাকমার রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই দিন পর খোঁজ মেলে মাইকেল চাকমার।

এর আগে পাঁচ বছরের বেশি সময় তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তখন তার সংগঠন ও পরিবারের দাবি ছিল, তাকে গুম করা হয়েছে। ফিরে আসার পর তিনি নিজেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ৫ বছর ৩ মাস ২৭ দিন তাকে আলোচিত গোপন বন্দিশালা আয়নাঘরে আটক রাখা হয়েছিল।

মাইকেল চাকমার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘সম্প্রতি নিয়ম মেনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে এসে রিট করেন। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী (মাইকেল চাকমা) প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহ করার পরও তাকে পাসপোর্ট দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মৌখিক অস্বীকৃতি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে মাইকেল চাকমাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দলের অভিযোগ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ অগাস্ট ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয় মাইকেল চাকমাকে। এরপর ১৮ ডিসেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে গুমের অভিযোগ দেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 11, 2025
img
ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ Nov 11, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 11, 2025
img
ক্ষুদে ফুটবলার সোহানকে বিকেএসপি স্কলারশিপ দেয়া হবে : ক্রীড়া উপদেষ্টা Nov 11, 2025
img
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ, একজনকে গণপিটুনি Nov 11, 2025
img
প্রাথমিকে শারীরিক শিক্ষা এবং সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট Nov 11, 2025
“ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক হয়েছি Nov 10, 2025
আসিফের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, বললেন মামুনুল Nov 10, 2025
img
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রেম চোপড়া Nov 10, 2025
img
‘রাষ্ট্র যেখানে ব্যর্থ, রাজপথই সেখানে ফয়সালা’ Nov 10, 2025
img
নারীরা ঘরে সময় দিলে, সম্মানিত করবে সরকার: জামায়াত আমির Nov 10, 2025
img
জারিনের স্মরণ সভায় গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে জিতেন্দ্র Nov 10, 2025
img
দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ Nov 10, 2025
img
বদলে যাচ্ছে বিপিএল নিলামের তারিখ Nov 10, 2025
img
মুশফিকের ৯৯তম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ Nov 10, 2025
img
পরিস্থিতির কারণে শাকিবের সঙ্গে বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়েছিল, জানালেন অপু বিশ্বাস Nov 10, 2025
img
প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে লাগবে না কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমতি Nov 10, 2025
রাবি রেজিস্ট্রার অফিসে বিএনপির সভার অভিযোগ Nov 10, 2025
''জুলাইকে শুধুমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন হিসেবে দেখতে চাইনা'' Nov 10, 2025
পুলিশের দাবি ঢাকায় গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী Nov 10, 2025