এবার বড় সাইবার হামলার শিকার হল মাস্কের মালিকানাধীন এক্স। বিশ্বের বিভিন্ন প্রাংত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না ব্যবহারকারীরা। এক্সে সাইবার হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন ইলন মাস্ক নিজেই।
এক পোস্টে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের মাস্ক জানান, ১০ মার্চ সকাল থেকেই এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা এক্স ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই তাদের আইডিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।
এক্সেই দেয়া এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘এক্সে বড় ধরনের সাইবার হামলা হয়েছে। এখনও হামলা চলছে।’ হামলা চলাকালেও অনেক ব্যবহারকারী কিছু সময়ের জন্য প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারলেও সাবলীলভাবে সেটি ব্যবহার করতে পারেননি।
অবশ্য ইলন মাস্ক এটিকে সাইবার হামলা দাবি করলেও স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গত বছর ডনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময়ও এ ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল এক্স। সেবার প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে সাক্ষাৎকারটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পরে শুরু করা হয়।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশষেজ্ঞরা বলেছেন, এক্সের পরিচালন প্রক্রিয়া না দেখে কী ঘটেছে তা বলা কঠিন। তবে সমস্যার স্থায়িত্ব দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি সাইবার হামলা। এক বিবৃতিতে মাস্ক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আক্রমণের শিকার হই। তবে এই আক্রমণ অনেক বেশি ‘সম্পদ’ ব্যবহার করে করা হয়েছে। এটা সম্ভবত একটি বড় সমন্বিত দলের বা গোষ্ঠীর কাজ। আবার এ হামলায় কোনো দেশও জড়িত থাকতে পারে।
মাস্ক এ ক্ষেত্রে ‘অনেক সম্পদ’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্স এর নিরাপত্তা বেশ শক্তিশালী। কাজেই ডিনায়াল অব সার্ভিস আক্রমণ বা এ ধরনের সাইবার হামলা সাধারণত খুব বেশি জটিল হয় না। তবে এটি বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে সক্ষম।
এদিকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের বিভ্রাট সম্পর্কিত তথ্য প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ৩৯ হাজার ২১ জন ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। বিকেল ৫টার দিকে সেই সংখ্যা কমে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫ জনে।
এদিকে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের ল্যারি কাডলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, এই সাইবার আক্রমণ মূলত ইউক্রেন অঞ্চলের আইপি ঠিকানাগুলো থেকে এসেছে। তবে, ইন্টারনেট অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সূত্র জানায়, এক্স প্ল্যাটফর্মে আসা বিপুল পরিমাণ অবৈধ ট্র্যাফিকের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল এবং অন্যান্য দেশের আইডি ঠিকানা থেকে এসেছে এবং ইউক্রেন থেকে আসা ট্র্যাফিকের পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য ছিল।
টিএ/