স্টারলিংকেও থাকবে আড়ি পাতার সুযোগ। নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়ায় সুযোগ রাখা আছে ইন্টারনেট বন্ধের। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবা চালু হলেও তাতে আইনানুগ আড়ি পাতার এমন সুযোগ রাখতে চায় সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রনালয়টির দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সে লক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ইলন মাস্কের সাথে ভিডিও কলেও কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টা স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে এর সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য আইনানুগ আড়ি পাতাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পন্থা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তাই টেলিযোগাযোগ–সংক্রান্ত নতুন আইনেও থাকবে এর বিধান। স্টারলিংকও এ ক্ষেত্রে আপত্তি করবে না বলে মনে করেন তিনি।
পাশাপাশি, ইন্টারনেট বন্ধ করার সুযোগ রাখার বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের মনোভাব হলো ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ না রাখা। খসড়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার পরিবর্তন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ রাখা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার যথেচ্ছ আড়ি পেতে বিরোধী মত ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করত বলে নানা সময় অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিকেন্দ্রিক ইচ্ছেমতো ইন্টারনেট বন্ধ করা হতো। তাই, নতুন আইনে এ বিধান বহাল রাখার বিপক্ষেও রয়েছে একটি মহল।
টিএ/