‘আমেরিকার তো কথা আর কাজে কোনো মিল নেই’

মূল্যায়ন সম্পন্ন হলে যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে আমেরিকাকে চিঠির উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৭ মার্চ) দেশটি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে তারা চিঠিটি পেয়েছে। চিঠিতে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, আমেরিকার কথা আর কাজে কোনো মিল নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ট্রাম্পের চিঠি এবং পারমাণবিক আলোচনার জন্য জনসমক্ষে আহ্বানকে প্রতারণামূলক এবং হুমকি বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলছেন, একটি কূটনৈতিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর কাজ চলছে।

তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল বাকাই বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমাদের ট্রাম্পের চিঠির ব্যাপারে কোনোকিছু করার কোনো কারণ নেই।... এই চিঠির প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাইয়ের পর যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়া হবে। কূটনৈতিক আলোচনার শিষ্টাচার হলো, প্রতিটি পক্ষকে অন্য পক্ষের স্বার্থ স্বীকার করতে হবে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে বিশ্বাস রাখতে হবে।’

এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন ইসমাইল বাকাই। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আসছে। আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত–এ কথা বলার পর আবার তেহরানের ওপর নতুন করে দেওয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করবে—এমন একটি চুক্তিতে ২০১৫ সালে সই করেছিল ইরান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা। কিন্তু ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই তিনি চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।

জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ পুনর্বহাল করেছেন, যা তার প্রথম মেয়াদে গৃহীত পদ্ধতির প্রতিফলন। মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির লক্ষ্য হলো ইরানকে পারমাণবিক বোমার অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখা। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান তাদের এই চাওয়া সব সময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

আরএইচ

Share this news on: