রান তাড়ায় কি কোহলিই সর্বকালের সেরা

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে বিরাট কোহলির আরেকটি সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৬৫ রান তাড়ায় কোহলি থামলেন ব্যক্তিগত ৮৪ রানে। ততক্ষণে বেশ কয়েকটি কীর্তি গড়ে ফেলেছেন এই ভারতীয় মহাতারকা। ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকারকে (২৩) ছাপিয়ে সর্বোচ্চ ২৪ ফিফটির মালিকও এখন ডানহাতি এই ব্যাটার। এদিনের ইনিংসের পথেই রান তাড়ায় দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কিং কোহলি।এ তালিকায় সবার ওপরে শচীন টেন্ডুলকার।

ভারতীয় কিংবদন্তি সর্বোচ্চ ৮৭২০ রান করেছেন মোট ২৩২ ইনিংসে ব্যাট করে। সেখানে কোহলি পরে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ ইনিংসে করলেন ৮০৬৩ রান। ৮ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে শচীনের চেয়ে ৫ ইনিংস কম খেলেছেন কোহলি। এ তালিকায় ৭ হাজার রানও নেই আর কারও খাতায়। ১৫১ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬১১৫ রান করেছেন রোহিত শর্মা। তবে রান তাড়ায় সেঞ্চুরিতে কোহলির আশেপাশেও নেই আর কোনো ব্যাটার। পরে ব্যাট করে ৬৪.৫০ গড়ে তার সেঞ্চুরি ২৮টি। দুইয়ে থাকা টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি ১৭টি। রান তাড়ায় জয় পেয়েছেন, এমন ম্যাচেও সেঞ্চুরির রেকর্ডে টেন্ডুলকারের (১৪) চেয়ে এগিয়ে কিং কোহলি (২৪)।

পরে ব্যাটিং করে জয় তুলে নেয়ায় এই ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটারের ব্যাটিং গড় ৮৯.৫০। এ তালিকায় অন্তত ৩ হাজার রান করা ব্যাটারদের মধ্যে গড়ে ৭০ রানও নেই অন্য কারও। ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মোট ১১টি বৈশ্বিক ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ১৬টি ফিফটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক শচীন টেন্ডুলকার। ৬ বিশ্বকাপ ও ৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৬১ ম্যাচে ৫৮ ইনিংস ব্যাট করে এই ভারতীয় কিংবদন্তির রান ২৭১৯।

অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ৪ বিশ্বকাপ ও ৪ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৫৪ ম্যাচে ৫৩ ইনিংস ব্যাট করা কোহলির রান ২৫৪১। বৈশ্বিক আসরে মোট রানে সবার আগে থাকলেও গড় রান হিসেবে শচীনের (৫২.২৮) চেয়ে এগিয়ে কোহলিই (৬৫.১৫)। এদিনের ম্যাচ শেষে কোহলি বন্দনায় মাতলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

তিনি বলেন, ‘(ক্রিকেট) খেলাটি যত ব্যাটসম্যানকে দেখেছে, তাদের মধ্যে তর্কসাপেক্ষে সে-ই সেরা। আমাদের বিপক্ষেই সে এই কাজ অনেকবার করেছে। খেলার গতি সে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আজকেও সে দুর্দান্ত খেলেছে।’ স্মিথের পর কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ গৌতম গম্ভীরও। তিনি বলেন, ‘সে একজন অভূতপূর্ব ওয়ানডে ব্যাটার।

কীভাবে নিজের রান ও ইনিংস গড়ার পরিকল্পনা করতে হয় সে জানে। সে জানে আগে ব্যাট ও রান তাড়ায় কীভাবে ইনিংস গড়তে হয়। কন্ডিশনের সঙ্গে খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। এসব মিলিয়েই ওয়ানডেতে তার রেকর্ড এতটা সমৃদ্ধ। আশা করি সে ভবিষ্যতেও এভাবে চালিয়ে যাবে।’

এর আগে ২০০২ ও ২০১৩তে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে ভারত। তৃতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী রোববার ফাইনাল খেলতে নামবে রোহিত শর্মারা।

এমআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ