ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে ভরনপোষণ হিসাবে ধনশ্রী বর্মা ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। বিচ্ছেদের জন্য ধনশ্রীকে ওই অঙ্কের টাকা দিতে রাজিও হয়ে গিয়েছেন চাহাল। বুধবার (১৯ মার্চ) মুম্বাই হাই কোর্টে এই তথ্য দিয়েছে তারকা দম্পতি।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট বার অ্যান্ড বেঞ্চে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয় দম্পতির। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের ১৮ মাস পর থেকেই আলাদা থাকা শুরু করেন তাঁরা। গত প্রায় আড়াই বছর আলাদাই থাকেন তাঁরা। শেষমেশ গত ৫ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে বান্দ্রার এক পরিবার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন চাহাল এবং ধনশ্রী। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, বিচ্ছেদের আগে ৬ মাসের যে কুলিং অফ পিরিয়ড বাধ্যতামূলক। কিন্তু চাহাল-ধনশ্রী ততদিন অপেক্ষা করতেও রাজি ছিলেন না। কুলিং অফ পিরিয়ড বাতিল করে তাৎক্ষনিক বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি চান তাঁরা।
যদিও বান্দ্রার ওই পরিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩(বি) ধারা অনুযায়ী এই কুলিং অফ পিরিয়ড বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ভরনপোষণ হিসাবে চাহালের ধনশ্রীকে যে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা, সেটাও এখনও পরিশোধ হয়নি। এ পর্যন্ত চাহাল ধনশ্রীকে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। অর্থাৎ অর্ধেক টাকা এখনও বাকি। টাকা পরিশোধ না হওয়াটাকেও পারস্পারিক অসহযোগিতা হিসাবে দেখছে আদালত। কুলিং অফ পিরিয়ড বাতিলের আবেদন খারিজের যুক্তি হিসাবে সেটাকেও তুলে ধরে বান্দ্রার ওই আদালত।
বাধ্য হয়ে দ্রুত ডিভোর্সের জন্য মুম্বাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তারকা দম্পতি। বুধবার মুম্বাই হাই কোর্ট বান্দ্রার ওই পরিবার আদালতকে জানিয়ে দিয়েছে, চাহালদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বৃহস্পতিবারই। কারণ এরপর আইপিএলে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। যেহেতু দুজনেই চাইছেন না, তাই এক্ষেত্রে কুলিং অফ পিরিয়ড বাধ্যতামূলক ভাবে চাপিয়ে না দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে মুম্বাই হাই কোর্ট। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার নেবে বান্দ্রার পরিবেশ আদালত।
আরএ/এসএন