ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। দখলদারদের সেনাবাহিনী বুধবার (১৯ মার্চ) জানিয়েছে, গাজায় তারা নির্দিষ্ট স্থল হামলা চালিয়েছে। এছাড়া গাজাকে দ্বিখণ্ড করে তৈরি করা কথিত ‘নেতজারিম করিডরের’ নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে করে গাজা আবারও দুই ভাগ হয়ে গেছে।
ইসরায়েল মূলত গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করতে চায়। এর অংশ হিসেবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে আবারও সেখানে হামলা শুরু করেছে তারা। তবে ওয়াশিংটন ডিসির সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেসের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এইচ এ হিলার বলেছেন, হামাসকে নির্মূলে সাফল্য পাবে না ইসরায়েল। যেমনটা গত ১৬ মাসে তারা পারেনি।
তিনি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, “আমি মনে করি আপনারা যা দেখছেন, আবারও স্থল হামলার মাধ্যমে, গত মাসে পরিস্থিতি যেমন ছিল সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া। যার অর্থ নেতজারিম করিডর আবারও সামরিকরণ হবে এবং আপনি দেখবেন ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে আবারও দক্ষিণাঞ্চলে পাঠানো হবে।”
“কিন্তু বাস্তবে সবকিছু শুধু পরিবর্তন করতে পারবে রাজনৈতিক সমাধান। যেটির প্রতি ইসরায়েলের কোনো আগ্রহ নেই।”— যোগ করেন তিনি।
গাজায় যদি সত্যিই হামাসকে ইসরায়েল সরাতে চায় তাহলে সেখানে আরেকটি গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ নিতে দিতে হবে। যেটিতে ইসরায়েল অস্বীকার জানিয়েছে। রাজনৈতিক এ বিশ্লেষক এ ব্যাপারে বলেছেন, “যদি গাজায় হামাসের বিকল্প আসে, সেটি ইসরায়েলের বোমা হামলার মাধ্যমে আসবে না। পরিবর্তন আসবে যদি রাজনৈতিক বিকল্প আসে। কিন্তু এ বিকল্পে এখন পর্যন্ত ভেটো দিয়েছে ইসরায়েল।”
তিনি আরও বলেন, “যদি আপনি সত্যিই হামাসের পরিবর্তন চান তাহলে গাজার রাজনৈতিক শাসনের বিষয়টি দেখতে হবে। এবং আপনাকে এই সমস্যার মূল দেখতে হবে। যেটি হলো ইসরায়েলের দখলদারিত্ব। যা ১৯৬৭ সাল থেকে চলছে।”
এমআর