মদিনা হেলথ ক্লাস্টার মসজিদে নববির উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে দুটি উন্নত মেডিকেল ক্যাপসুল- ‘তাবাহ’ ও ‘তিবাবাহ’ চালু করেছে। যা দর্শনার্থী ও হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অত্যাধুনিক ক্যাপসুলগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি রোগ শনাক্তকরণ, দ্রুত পরীক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সূচক পর্যবেক্ষণ ও ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) পরিচালনার সক্ষমতা রাখে। এছাড়া ক্যাপসুলগুলো সিহা ভার্চুয়াল হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত। রোগীরা বিশেষায়িত চিকিৎসা সহায়তা দ্রুত পেতে পারেন এ নিশ্চয়তা প্রদানের জন্যই এ ক্যাপসুল আবিস্কার করা হয়েছে।
মসজিদে নববির আশপাশে থাকা আল-সালাম এন্ডাওমেন্ট ও আল-হারাম হাসপাতালের পাশাপাশি এই ক্যাপসুলগুলো নতুন স্বাস্থ্যসেবার মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে, প্রশিক্ষিত চিকিৎসা কর্মীরা এসব ক্যাপসুল পরিচালনা করেন। প্রতিদিন ৫৭৬-এরও বেশি রোগীকে সেবা প্রদান করেন।
এই উদ্যোগটি সরকার ও বেসরকারি খাতের সফল অংশীদারিত্বের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এ ব্যবস্থাপনা সৌদি আরবের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
সম্প্রতি, মদিনায় সৌদি রেড ক্রিসেন্ট অথরিটি তাদের জরুরি প্রতিক্রিয়ার দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। সংস্থার আঞ্চলিক শাখার পরিচালক ড. আহমেদ বিন আলী আল-জাহরানি জানান, মসজিদে নববিতে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তীব্র বুকে ব্যথার শিকার হলে, মেডিকেল ট্রান্সফার সেন্টার ৯৯৭ হটলাইনের মাধ্যমে একটি কল পায়। উন্নত চিকিৎসা দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম সম্পন্ন করে ও রোগীর তীব্র হার্ট অ্যাটাক শনাক্ত করে।
এরপর, কার্ডিয়াক অ্যাটাক পথনির্দেশিকা কার্যকর করা হয়, যার ফলে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডের মধ্যে রোগীকে হায়াত ন্যাশনাল হাসপাতালের কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন ল্যাবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। ড. আল-জাহরানি জোর দিয়ে বলেন, এই দ্রুত ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়াই রোগীর সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এই স্মার্ট এআই মেডিকেল ক্যাপসুল চালুর মাধ্যমে মসজিদে নববির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও দক্ষ ও দ্রুততর হয়েছে। ফলে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের পবিত্র সফরের সময় সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
এমআর/এসএন