গাজায় গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে তিন দিনে ২০০ শিশুসহ অন্তত ৫০৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০৯ জন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের শুরু করা হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত তিন দিনে নতুন করে ৫০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেবল শিশুই রয়েছে ২০০ জন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০৯ ফিলিস্তিনি নাগরিক।
এদিকে, ইসরায়েল বলেছে, গাজা উপত্যকায় পুনরায় শুরু করা স্থল অভিযান আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বুধবার ওই অঞ্চলের উত্তর-দক্ষিণের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়। নতুন চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে; এর মাঝেই গাজায় অতর্কিত হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের মাঝে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজা উপত্যকা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি স্থল সেনারা গাজা অভিযানে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। উপত্যকায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে ইসরায়েলের হামলা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গাজায় নিযুক্ত জাতিসংঘের ফিলিস্তিন-বিষয়ক দাতব্য সংস্থার অন্তত পাঁচ কর্মী ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি।
ইসরায়েলের নতুন করে স্থল ও আকাশপথে হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি ‘‘গণহত্যার’’ প্রতিশোধে তারা তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
এসএম