আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্যরা।
বৈঠকের সাইডলাইনে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ভারতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।শুক্রবার (২১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমসটেক সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যকার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ৩-৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মোদি এবং ইউনূস যোগদানের জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে, ঢাকা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে। এটিই প্রথমবারের মতো মোদি এবং ড. ইউনূসের একসঙ্গে বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠকের জন্য অনুকূল নয়। বিশেষ করে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং তীব্রতার কারণে এ ধরনের বৈঠকের জন্য এখনো কোনো ভিত্তি প্রস্তুত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের ফাঁকে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, সাক্ষাৎ বা শুভেচ্ছা বিনিময়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সব নেতা বেশ কয়েকবার একে অপরের সাথে থাকবেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।
দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানায়, একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করা কঠিন। বিশেষ করে যখন ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সদস্য প্রায় প্রতিদিনই ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তোলেন। এই পরিস্থিতি বৈঠকের জন্য উপযুক্ত নয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন এএনআইকে বলেন, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার জন্য আমরা ভারতের কাছে কূটনৈতিকভাবে চিঠি দিয়েছি।
এমআর/টিএ