এবারের আইপিএল শুরুর আগেই ফের শোনা গেল তাসকিনকে নিয়ে গুঞ্জন। তাসকিন নিজেই জানিয়েছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অংশ হয়ে থাকা শ্রীধরন শ্রীরাম নিজেই যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশি পেসারের সঙ্গে। লখনৌর পেস আক্রমণের ভঙ্গুর দশাতেই তাসকিনের দিকে নজর তাদের।
পেস আক্রমণের জন্য চলতি আসরকে সামনে রেখে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খরচা করেছিল লখনৌ। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের জন্য ছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ রুপি। সবমিলিয়ে খরচ ২৮ কোটির বেশি। কিন্তু এই পেস আক্রমণকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তিন পেসার মায়াঙ্ক যাদব, আভেশ খান এবং মহসিন খানের কেউই নিশ্চিত না ঠিক কবে থেকে মাঠে নামতে পারবেন।
তাসকিনকে সরাসরি খেলার প্রস্তাব দেয়নি দলটি। তাদের স্কোয়াডের একাধিক পেসার চোটে পড়েছেন। তাই সেই পেসারদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত ব্যাকআপ পেসার প্রয়োজন হয় তাহলে তাসকিনকে দলে ভেড়াতে পারে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
যদিও আইপিএলের নিয়ম এই ক্ষেত্রে তাসকিনের জন্য কিছুটা দুশ্চিন্তার হতে পারে। সবার আগে এটি নিশ্চিত করতে হবে লখনৌর মায়াঙ্ক, আভেশ এবং মহসিনের অন্তত ১ জন পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন। আর সেটা হতে হবে দলের ১২তম ম্যাচের আগেই। পুরো আসরের জন্য বাদ পড়া নিশ্চিত না হলে লখনৌর সামনে তাসকিনকে দলে টানার কোনো সুযোগ থাকছে না। আর বিসিবির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে, তাসকিন যদি যোগ দেন সেক্ষেত্রে আসরের শেষ পর্যন্ত তাকে অনাপত্তিপত্র বা এনওসি দেয়া হবে।
তবে লখনৌ দলে ইনজুরি আক্রান্ত তিন পেসারই ভারতীয় হওয়ার সুবাদে নিলামে থাকা দেশি বোলারদেরই আগে বিবেচনা করতে হবে দলটিকে। সেখানে সম্ভব না হলেই কেবল তাসকিনে মনোযোগ ফেরাতে পারে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
এসএম